ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরিষা ফুলের সমারোহে নয়নাভিরাম এখন চলনবিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরিষা ফুলের সমারোহে নয়নাভিরাম এখন চলনবিল। নাটোরের গুরুদাসপুরসহ চলনবিলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। দু’চোখ যেদিকে যায় শুধু হলুদ রঙের ফুলের সমারোহ।

সরেজমিনে দেখা যায়, চলনবিলের মাঠজুড়ে এখন সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। যে দিকে চোখ যায় চারদিকে শুধুই হলুদের সমারোহ। দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। প্রকৃতির এ মনোরম দৃশ্য দেখে যে কোনো মানুষকেই মুগ্ধ করবে। হলুদ ফুলের সুসজ্জিত মাঠে ভ্রমর পাখা মেলে উড়ছে। ভ্রমরের গুঞ্জনে কৃষকের মন আন্দোলিত। একদিকে সরিষার এই ফুল থেকে প্রতি বছর মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ মৌচাষিরা। অন্যদিকে ফলনও বেশি হয় পরাগায়ণের ফলে। তাই এবারো মৌচাষিরা আসতে ভুলেননি চলনবিলে। এখন তারা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শুধু তাই নয় সরিষা ফুলের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। বর্ষায় পানিতে ডুবে টইটুম্বুর থাকে এই চলনবিল, আর শুকনো মৌসুমে মাঠজুড়ে ফুটে থাকে সরিষা ফুল আর বোরো ধানের সবুজের সমারোহ। মাঝ খানে গাড়ো সবুজের বুকে হলুদের ছিটা। এই সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে ছোট বড় নানা বয়সের ভ্রমণ পিপাসুরা। কাজের ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতেই এশিয়ার এই সর্ব বৃহৎ বিলে ছুটে আসেন তারা।

চলনবিলের সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা তানিশা তানহা,মৌমিতা,রাহাতারা, আবতা হোসেন ও টুম্পা জানান, বর্ষা মৌসুমে একবার এসেছিলাম পানির সৌন্দর্য দেখতে। শুকনো মৌসুমে সরিষা ফুলের হলুদে মেতে থাকা সৌন্দর্যের কথা শুনেই আবার চলে আসলাম। তবে অনেক ভালো লেগেছে। সময় পেলে পুরো চলনবিলটাই ঘুরে দেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু মন না চাইলেও সময়ের টানে ফিরে যেতে হচ্ছে।

গুরুদাসপুরের ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন, চলনবিল বছর জুড়েই তার চিরচেনা নানা রূপ আর সৌন্দর্য দিয়ে বিভিন্ন সময় নানাভাবে বিভিন্ন রূপে পর্যটকদের কাছে টানে। চলনবিলের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য না দেখলে চলনবিলের অপার সৌন্দর্য যেন অধরা থেকে যায়।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলশা গ্রামের চলনবিলের স্থানীয় এমপি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, চলনবিলে রাস্তা, ঘাট, ব্রিজসহ সব কিছুতেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছি। জীবনের শেষ ইচ্ছা চলনবিলে একটা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা। যেন দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা আরাম আয়েশ ও বিশ্রাম করে ভালোভাবে চলনবিলের সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে দু’চোখ ভরে উপভোগ করতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সরিষা ফুলের সমারোহে নয়নাভিরাম এখন চলনবিল

আপডেট টাইম : ১১:৪৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরিষা ফুলের সমারোহে নয়নাভিরাম এখন চলনবিল। নাটোরের গুরুদাসপুরসহ চলনবিলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। দু’চোখ যেদিকে যায় শুধু হলুদ রঙের ফুলের সমারোহ।

সরেজমিনে দেখা যায়, চলনবিলের মাঠজুড়ে এখন সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। যে দিকে চোখ যায় চারদিকে শুধুই হলুদের সমারোহ। দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। প্রকৃতির এ মনোরম দৃশ্য দেখে যে কোনো মানুষকেই মুগ্ধ করবে। হলুদ ফুলের সুসজ্জিত মাঠে ভ্রমর পাখা মেলে উড়ছে। ভ্রমরের গুঞ্জনে কৃষকের মন আন্দোলিত। একদিকে সরিষার এই ফুল থেকে প্রতি বছর মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ মৌচাষিরা। অন্যদিকে ফলনও বেশি হয় পরাগায়ণের ফলে। তাই এবারো মৌচাষিরা আসতে ভুলেননি চলনবিলে। এখন তারা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শুধু তাই নয় সরিষা ফুলের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। বর্ষায় পানিতে ডুবে টইটুম্বুর থাকে এই চলনবিল, আর শুকনো মৌসুমে মাঠজুড়ে ফুটে থাকে সরিষা ফুল আর বোরো ধানের সবুজের সমারোহ। মাঝ খানে গাড়ো সবুজের বুকে হলুদের ছিটা। এই সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে ছোট বড় নানা বয়সের ভ্রমণ পিপাসুরা। কাজের ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতেই এশিয়ার এই সর্ব বৃহৎ বিলে ছুটে আসেন তারা।

চলনবিলের সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা তানিশা তানহা,মৌমিতা,রাহাতারা, আবতা হোসেন ও টুম্পা জানান, বর্ষা মৌসুমে একবার এসেছিলাম পানির সৌন্দর্য দেখতে। শুকনো মৌসুমে সরিষা ফুলের হলুদে মেতে থাকা সৌন্দর্যের কথা শুনেই আবার চলে আসলাম। তবে অনেক ভালো লেগেছে। সময় পেলে পুরো চলনবিলটাই ঘুরে দেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু মন না চাইলেও সময়ের টানে ফিরে যেতে হচ্ছে।

গুরুদাসপুরের ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন, চলনবিল বছর জুড়েই তার চিরচেনা নানা রূপ আর সৌন্দর্য দিয়ে বিভিন্ন সময় নানাভাবে বিভিন্ন রূপে পর্যটকদের কাছে টানে। চলনবিলের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য না দেখলে চলনবিলের অপার সৌন্দর্য যেন অধরা থেকে যায়।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলশা গ্রামের চলনবিলের স্থানীয় এমপি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, চলনবিলে রাস্তা, ঘাট, ব্রিজসহ সব কিছুতেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছি। জীবনের শেষ ইচ্ছা চলনবিলে একটা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা। যেন দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা আরাম আয়েশ ও বিশ্রাম করে ভালোভাবে চলনবিলের সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে দু’চোখ ভরে উপভোগ করতে পারে।